প্রতিটি দেশ এর সার্বিক অর্থনৈতিক অগ্রগতি, জীবন যাত্রার মান উন্নয়ন নির্ভর করে, সে দেশটির দক্ষ জনশক্তির উপর। প্রতিটি উন্নত জাতি ও দেশ তাদের উন্নয়নের মূলমন্ত্র খুজলে পাওয়া যায় সু শিক্ষা, প্রযুক্তিগত জ্ঞানের সঠিক ও সর্বোচ্চ ব্যাবহার। উন্নয়নশীল দেশগুলোকে তাদের মানের দ্রুত উন্নয়ন সম্ভব একমাত্র এই দক্ষ জনশক্তি ও প্রযুক্তি স্বদব্যাবহার এর মাধ্যমে। সেই চিন্তায় এক ঝাক তরুন শিক্ষানুরাগী ব্যাক্তিবর্গের ঐক্লান্তিক পরিশ্রমে বাংলাদেশ কারিগরি শিক্ষাবোর্ডের অনুমোদন ক্রমে ২০১১ ইং সালে নরসিংদীতে প্রতিষ্ঠিত হয়, “অরবিট ইনস্টিটিউট অব ইঞ্জিনিয়রিং এন্ড টেকনোলজিতে স্বাগত ”। প্রতিষ্ঠার প্রথমথেকেই প্রতিষ্ঠানটিকে একটি সম্পুর্ণ সেবামূলক কার্যক্রমে পরিচালিত করে।
প্রতিষ্ঠানটি প্রথমত ০৩ (তিনটি – সিভিল, ইলেকট্রিক্যাল, কম্পিউটার) টেকনোলজি নিয়ে ছাত্রদের কার্য ক্রম শুরু করলেও বর্তমানে মোট ০৬ ( অটোমোবাইল, ইয়ার্ন, ফেব্রিক্স, সিভিল, ইলেকট্রিক্যাল ও কম্পিউটার সায়েন্স এন্ড টেকনোলজি) তে কার্যক্রম পরিচালিত করছে।
প্রযুক্তির যুগে নিত্য নতুন আবিষ্কারের কর্মসংস্থানের ধারনা ক্রমেই পাল্টে যাচ্ছে। উন্মোচিত হচ্ছে নিত্য নতুন কাজের দিগন্ত। বংশানুক্রমিক পেশাগত বৃত্তি অবলম্বন করে নিশ্চিত জীবন যাপনের দিন এখন নেই বললেই চলে । নবতর কর্মদিগন্ত উন্মোচিত এই অধ্যায়ে তাই বিশেষায়িত শিক্ষা ও প্রশিক্ষণ অপরিহার্য হয়ে পড়েছে। ফলে সাধারণ শিক্ষার চেয়ে পেশা ও প্রযুক্তি নির্ভর কর্মমুখী শিক্ষা ক্রমেই অধিকতর গুরুত্ব পাচ্ছে।
কর্মমুখী শিক্ষা শিক্ষার্থীর কর্মদক্ষতা সৃষ্টি করে এবং তাকে সৃজনশীল ও উৎপাদনমূখী কাজ করতে সাহায্য করে। এ শিক্ষা স্ব কর্মসংস্থানের নানা সুযোগ সৃষ্টি করে দারিদ্র্য ও বেকারত্ব দূরীকরনে ও বৈদেশিক কর্মসংস্থানের মাধ্যমে জীবিকা অর্জনে কার্যকর ভূমিকা রাখতে সক্ষম। বিশ্বের উন্নত দেশ গুলোর শিক্ষা ব্যবস্থা পরিকল্পিত ও কর্মমূখী। উন্নত দেশগুলো উৎপাদন ও কর্মমুখী তথা প্রযুক্তি নির্ভর শিক্ষা ব্যবস্থা চালু করার মাধ্যমে নিজেদের ভাগ্যকে প্রসন্ন করেছে এবং সংগত কারণে তারা আজ উন্নতির চরম শিখরে আরোহন করছে। আমাদের দেশে সনাতনী শিক্ষা ব্যবস্থা বহুলাংশে প্রচলিত থাকায় জাতির মেররুদন্ড সুসংহত হচ্ছেনা এবং এর ফলে স্কুল, কলেজ, বিশ্ববিদ্যালয় থেকে উত্তীর্ণদের ব্যাপক অংশই বেকার থেকে যাচ্ছে। আর বেকারত্বের অভিশাপ মাথায় নিয়ে হতাশাগ্রস্থ তরুণ-যুবসমাজ আজ দিশেহারা। এই দুর্বিসহ যন্ত্রণা, হতাশা, শূন্যতাবোধ ও ব্যর্থতা জনিত গ্লানি থেকে মুক্তি পেতে এবং ব্যাক্তি স্বাধীনতা অক্ষুন্ন রেখে স্বাবলম্বী, স্বনির্ভর উপার্জনশীল জাতি গঠন করতে হলে আধুনিক বিশ্বের চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় নিজেদেরকে উপযুক্ত করে গড়ে তুলতে হবে এখনই। তাছাড়া বর্তমান বিশ্বে কর্মের যে মহাযজ্ঞ অনুষ্ঠিত হচ্ছে তাতে আমাদেরকেও অংশগ্রহণ করতে হবে। আধুনিক প্রযুক্তি নির্ভর কর্মমুখী শিক্ষা গ্রহন করে নিজেদের ভাগ্য উন্নয়নের সাথে সাথে জাতীয় জীবনেও অবদান রাখার সংকল্প গ্রহণ করতে হবে। এ উপলদ্ধি থেকেই আমাদের পথ চলা । জাতীয় ও আন্তর্জাতিক পরিমণ্ডলে দক্ষ প্রযুক্তিবিদের ক্রমবর্ধমান চাহিদার প্রেক্ষিতে IT বিশেষজ্ঞ ও পেশানির্ভর প্রযুক্তিবিদ তৈরির প্রত্যয় নিয়ে Orbit Institute of Engineering & Technology (OIET) কাজ করছে সেই ২০১১ সাল থেকে। ইতোমধ্যে “Orbit Institute of Engineering & Technology” জীবন ভিত্তিক কর্মমুখী শিক্ষার অগ্রণী প্রতিষ্ঠান হিসেবে নিজেকে প্রতিষ্ঠিত করেছে। প্রযুক্তিনির্ভর দেশ এবং স্বনির্ভর জাতি গঠনের লক্ষ্যে এই প্রতিষ্ঠানটি এগিয়ে যাচ্ছে। বাংলাদেশ কারিগরি শিক্ষা বোর্ডের অধীনে এই প্রতিষ্ঠানে যুগোপযোগী বিভিন্ন কোর্স পারিচালিত হচ্ছে।
আমরা দেশ মাতৃকার ভালবাসায় শিক্ষা বাণিজ্য পরিহার করে সম্পূর্ণ সেবামূলক মনোভাব নিয়ে শিক্ষার্থীদের কল্যাণে নিবেদিত। ফাউন্ডেশন ক্লাস ও ওরিয়েন্টেশন প্রোগ্রামের ব্যবস্থা, একাডেমিক ক্যালেন্ডার অনুযায়ী পাঠদান ও পরীক্ষা গ্রহণ, ইন্টারনেট সমন্বিত আধুনিক কম্পিউটার ল্যাব, সমৃদ্ধ লাইব্রেরী, হোস্টেল সুবিধাসহ অনন্য বৈশিষ্ট্য মণ্ডিত “Orbit Institute of Engineering & Technology” ইতোমধ্যে সুপ্রিয় শিক্ষার্থী, সচেতন অভিভাবক ও সুধী মণ্ডলীর নিকট ব্যাপকভাবে প্রশংসিত হয়েছে। সকলের সহযোগিতায় ভবিষ্যত প্রজন্মকে আমরা গড়ে তুলতে চাই আধুনিক বিশ্বের উপযোগী করে দক্ষ মানব সম্পদরূপে।